শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে পুঁইশাক চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকেরা লালমনিরহাট সদর উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! লালমনিরহাটে করলায় লাভবান কৃষক লালমনিরহাটে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ক্রেস্ট ও সনদপত্র পেয়েছে মারিহা ও মাইশা দুই বোন লালমনিরহাটে কৃষকরা পাট শাক চাষে ঝুঁকছেন লালমনিরহাটে বরবটি চাষে এখন ব্যস্ত কৃষকেরা থানার সেবা কার্যক্রম আরও জনমূখী ও প্রযুক্তি নির্ভর করা হবে-লালমনিরহাটে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব লালমনিরহাটে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লেবুর চাষ! লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ-এর সভাপতি পদে চেয়ার মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নলিনী চন্দ্র বর্মন লালমনিরহাটে রসালো লিচু এখন লাল রঙে রাঙাচ্ছে!
সূর্যমুখী ফুলের বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে

সূর্যমুখী ফুলের বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মধুপুর, চরিতাবাড়ী ও কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা গ্রামসহ লালমনিরহাট সদর, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। এ গ্রামগুলোতে ফুল চাষে সফলতা দেখে গোটা জেলায় সূর্যমুখী চাষের ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলায় সরকারি-বেসরকারি ও এনজিওদের মাধ্যমে প্রচলিত কৃষি শস্যের বাইরে নতুন নতুন লাভজনক ফসল চাষে কৃষককে প্রেরণা যোগাতে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে। বিশেষ করে তিস্তা, বুড়ি তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, স্বর্ণামতি নদীর চরাঞ্চলের বালুতে কিভাবে কৃষি ফসল ফলানো যায় এবং কিভাবে চরের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় এ নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

এছাড়া মাঠ পর্যায়ে দু’ফসলি জমিতে কিভাবে বছরে ৩টি অর্থকারী কৃষিশস্য চাষ করা যায় তা নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সফলতাও এসেছে। চরের ধূ-ধূ বালু মাটিতে বিশেষ পদ্ধতিতে সবজি চাষ, মিষ্টি কুমড়া চাষ, আলু চাষ, স্ট্রবেরী ফল চাষ ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখন আর চরের বালু জমিও ফেলে রাখা হয় না। প্রতিটি চর এখন একেকটি অর্থকারী ফসল চাষের জোনে পরিণত হয়েছে।

 

প্রচলিত ফসলের বাইরে বছরে দু’ফসলই জমিতে ৩টি অর্থকারী ফসল আবাদের অংশ হিসেবে আদিতমারী উপজেলার মধুপুর, চরিতাবাড়ী ও কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা গ্রামে সূর্যমুখী ফুলের বাণিজ্যিকভাবে ফসল হিসেবে চাষ করা হয়েছে।

 

জানা যায়, সূর্যমূখী একটি অর্থকারী কৃষি ফসল। মূলত প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সূর্যমূখীর চাষ হচ্ছে। সূর্যমূখী ফুলের দানা থেকে ভোজ্যতৈল উৎপাদন করা হয়, যা কোলেস্টেরল মুক্ত। এছাড়াও শর্ষে বাটার মত করে সূর্যমুখী ফুলের দানা খাওয়া যায়। গ্রামের মানুষের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনবে এই সূর্যমুখী ফুল চাষ হচ্ছে।

 

কবি ও সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির বলেন, সূর্যমূখী ফুল চাষ করে কৃষক পরিবারগুলো ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রতিদিন ফুলের ক্ষেতের সৌন্দর্য দেখতেও মানুষ ছুটে আসছে। সূর্যমুখী চাষ গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় ৮০হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।

 

তিনি আরও জানান, সূর্যমুখী চাষের জন্য কৃষকদের উৎসাহ, পরামর্শ ও বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আশা করি আগামীতে লালমনিরহাট জেলায় দ্বিগুণ সূর্যমুখী চাষ হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone